বেড়েই চলছে সাইবার অ্যাটাক। চাহিদা বড়ছে এথিক্যাল হ্যাকারদের। উপার্জনও বাড়ছে লাফিয়ে লাফিয়ে।

ভারতের এথিক্যাল হ্যাকারদের মধ্যে ব্যাপক জনপ্রিয় উত্তর ভারতের শিবম বশিষ্ঠা। তিনি কেবল বাগ খুঁজে দিয়ে ১,২৫,০০০ ডলার উপার্জন করেছে। বাংলাদেশি মুদ্রায় যা এক কোটি ৬ লাখ টাকার বেশি।

তিনি সান ফ্রান্সিসকোর হ্যাকার ওয়ানে কাজ করেন। হ্যাকার ওয়ান একটি প্রোগ্রামের সমস্যা এবং বাগ অনুদানের প্ল্যাটফর্ম। এর ক্লায়েন্টের তালিকায় রয়েছে স্টারবাকস, ইনস্টাগ্রাম, গোল্ডম্যান শ্যাস, টুইটার এবং ওয়ানপ্লাস এর মতো কোম্পানি।

টুইটারে @Bull নামে পরিচিত শিবম

শিবম বশিষ্ঠা টুইটারে তাঁর হ্যান্ডেল @Bull নামে সবচেয়ে বেশি পরিচিত। তিনি একজন ফুল টাইমার হ্যাকার। তিনি জানিয়েছেন, আমি সপ্তাহে গড়ে ১৫ ঘন্টা হ্যাকিংয়ে ব্যয় করি। তবে এটি সময়ে সময়ে পরিবর্তিত হয় এবং এটি আমার সময়সূচির উপর নির্ভর করে। এমন সময় আছে যখন আমাকে সারাদিন কাজ করতে হয় এবং কখনও কখনও আমি কয়েক সপ্তাহ ধরে হ্যাকিংয়ের ধারে কাছেও থাকি না।

বাগ খুঁজে পুরস্কৃতদের তালিকায় ভারত দ্বিতীয়

গত বছর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের হ্যাকাররা অল বাউন্টি এর ১০ শতাংশ শেয়ার নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে ছিল ভারত। বশিষ্ঠা আরও জানিয়েছে, হ্যাকার ওয়ান পাওয়ারড সিকিউরিটি রিপোর্ট ২০১৯ অনুযায়ী, ২০১৮ সালে ভারতের এথিকাল হ্যাকার কমিউনিটি ২৩, ৩৬০, ২৪ ডলার পুরস্কৃত মূল্য জিতেছে।

শিবম ১৯ বছর বয়সে কম্পিউটারের বেসিক কোর্স করার পর এথিক্যাল হ্যাকিং শিখতে শুরু করেছিল। প্রথমদিকে শিবমের পরিবার তাঁর কাজ নিয়ে চিন্তিত ছিল বলেও তিনি জানিয়েছেন।

২০ বছর বয়সে মিলেছিল প্রথম সাফল্য

শিবম ২০ বছর বয়সে প্রথম বাউন্টি ইন্সটাকার্ট থেকে পেয়েছিল। পরবর্তীকালে তিনি মাস্টার কার্ড থেকেও বাউন্টি পেয়েছিলেন। এই বছরের আগস্টে হ্যাকার ওয়ান প্রকাশ করে, হ্যাকাররা মাত্র এক বছরে ২১ মিলিয়ন ডলার আয় করেছে। ফুড ডেলিভারি কোম্পানি জোমাটো তার প্ল্যাটফর্মে বাগগুলো খুঁজে পেতে এবং ফিক্স করতে ৪৩৫ জন হ্যাকারকে রেখেছে। যাদের পেছনে কোম্পানি বছরে ১ লাখ ডলারের বেশি খরচ করে।