করোনার মধ্যে মরার উপর খাড়ার ঘা হয়ে জাপানে আসলো ভয়াবহ বন্যা-ভূমিধস। সোমবারও জাপানের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় দ্বীপ কিউশুতে প্রবল বৃষ্টিপাত হয়েছে। প্লাবিত হয়েছে কমপক্ষে আরও একটি নদীর তীর। টানা বৃষ্টিপাতের ফলে সৃষ্ট বন্যা ও ভূমিধসের কারণে দেশটিতে গত তিন দিনে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪৪ জনে। মৃতদের মধ্যে ১৪ জনই একটি বৃদ্ধাশ্রমের বাসিন্দা।

বার্তা সংস্থা রয়টার্স জাপানি সংবাদমাধ্যম এনএইচকে-র বরাতে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, কর্তৃপক্ষ দ্বীপটির পাঁচ লাখেরও বেশি বাসিন্দাকে অন্যত্র নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। এছাড়া পশ্চিমাঞ্চলের আরও হাজার হাজার মানুষকে নিরাপদ স্থানে যাওয়ার নির্দেশনা জারি করা হয়েছে।

কিউশুতে উদ্ধার অভিযানে পাঠানো হয়েছে সেলফ ডিফেন্স ফোর্সের ৪০ হাজার সদস্য। অনেক মানুষ এখনও নিখোঁজ রয়েছে। উদ্ধারকারীরা জীবিতদের খোঁজ করছে। ছবিতে দেখা যাচ্ছে, রাস্তাঘাট তলিয়ে গেছে, ধসে পড়েছেসেতু, গাড়ি উল্টে পড়ে আছে। বাড়িঘরগুলোর উপর জমে থাকা কাদা সরাচ্ছেন সবাই।

প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে বলেছেন, বুধবারের মধ্যে দেশের উত্তরাঞ্চলেরও ভারী বৃষ্টিপাত শুরু হতে পারে। এজন্য তিনি ২৪ ঘণ্টা উদ্ধার অভিযান শুরুর নির্দেশ দিয়েছেন। সরকারি টাস্ক ফোর্সের বৈঠকে তিনি বাসিন্দাদের ‘সর্বোচ্চ সতর্ক’ এবং স্থানীয় কর্তৃপক্ষের দেওয়া তথ্যর ব্যাপারে সজাগ থাকার আহ্বান জানিয়েছেন।

এনএইচকে’র এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, নিহতদের মধ্যে বন্যায় ডুবে যাওয়া একটি বৃদ্ধাশ্রম থেকে ১৪ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তবে এ ব্যাপারে বিস্তারিত আর কিছু জানানো হয়নি। অনেকেই বলছেন, জাপানের ওই অঞ্চলে এমন বৃষ্টি এবং বন্যা নজিরবিহীন।