সকালের শিশিরে সিক্ত ঘাস থেকে শুরু করে পূর্ণিমার রাতের জ্যোৎস্না পর্যন্ত সব সৌন্দর্যের স্বাদ আমরা আস্বাদন করি চোখ দিয়ে। কিন্তু চোখের প্রতি আমরা এতটাই অচেতন যে, অযত্নে অবহেলায় চোখের রঙ হয়ে আছে লাল কিংবা নিচে জমে আছে অমাবস্যার যত কালিমা। অথচ একটু যত্ন এবং সচেতনতা শরীরের এই প্রধানতম অঙ্গকে সুস্থ রাখা যায়। এজন্য দরকার খাবার-দাবারে বিশেষ সতর্কতা।
গাজর
চোখের জন্য গাজরই সর্বোত্তম খাবার। এর বিটা ক্যারোটিন ছানি পড়া থেকে শুরু করে বয়সের কারণে চোখের জ্যোতি কমে আসা পর্যন্ত প্রতিরোধ করে। এক কথায়, গাজর খেলেই আপনার চোখ ৫০ শতাংশ ভালো থাকবে।
সবুজ শাক
অ্যান্টি অক্সিডেন্ট, জিয়া জ্যানথিন, লুটেনিন কি নেই সবুজ শাকে। নিয়মিত সবুজ শাক খেলে কোনো ধরনের নীল আলো রেটিনার ওপর প্রভাব ফেলতে পারে না। এছাড়া দৃষ্টি ক্ষমতা দূরে-কাছে সব ক্ষেত্রে দীর্ঘদিন পর্যন্ত স্বাভাবিক থাকে।
ভুট্টো
আধ-কাপ রান্না করা ভুট্টোয় একজন মানুষের চোখের জন্য প্রয়োজনীয় সব উপাদান পর্যাপ্ত পরিমাণে থাকে। নিয়মিত ভুট্টো খেলে চোখের হলুদ পিগমেন্ট হারানো ঝুঁকি থাকে না। এমনকি ছানি পড়ার হার কমে যায়।
টমেটো
টমেটো চোখ মেরামত করে। এতে আছে লাইকোপিন, যা তীব্র আলোর কারণে সৃষ্ট সমস্যা সারিয়ে তোলে। পাশাপাশি এর ভিটানিস সি চোখের দৃষ্টি স্বাভাবিক রাখে। এছাড়াও চোখের জন্য প্রয়োজনীয় নানা খনিজ, আঁশ এবং ক্যারোটিনে ভরপুর টমেটো।
মিষ্টি আলু
আলু কম-বেশি আমরা সবাই খাই। কিন্তু মিষ্টি আলু খাওয়া হয় না। এতে রয়েছে বিটা ক্যারোটিনসহ নানা প্রয়োজনীয় উপাদান, যা চোখ সুস্থ রাখে।
টার্কি
এ জাতীয় মুরগির মাংসে প্রচুর ভিটামিন বি, নিয়াসিন এবং জিঙ্ক আছে, যা চোখ সুস্থ রাখে। তবে সমস্যা একটাই, টার্কি মুরগি অতটা সহজলভ্য নয়।
অলিভ অয়েল
এ তেল চোখের কোনো সরাসরি উপকার না করলেও শরীরে অন্যান্য উপাদান শোষণে সহায়তা করে। তাই দৈনিক না হলেও নিয়ম করে অলিভ অয়েল তথা জলপাই তেল খাওয়া দরকার। এতে শরীরের পাশাপাশি চোখও সুস্থ থাকে।