আমেরিকায় দুই-তৃতীয়াংশ কর্মজীবী তাদের দুপুরের খাবার অফিসের ডেস্কে বসেই খান। সব দেশেই ব্যস্ত কর্মক্ষেত্রে একই চিত্র দেখা যায়। কারণ ই-মেইল দেখতে দেখতে স্যান্ডুইচে কামড় বসানোয় দুটো কাজ একইসঙ্গে করা যায়।
কিন্তু বিশেষজ্ঞদের মতে, সময় বাঁচাতে গিয়ে এসব কাজ করায় আসলে তেমন কোনো লাভ হয় না। কারণ কাজের টেবিলে বসে খাওয়া বরং কম উৎপাদনশীল করে দেয় কর্মীদের।
লেখক বব পোজেন কর্মক্ষেত্রে লাঞ্চ করার বিষয়ে কিছু উপদেশ দিয়েছেন। স্যান্ডুইচ খাওয়ার জন্য আলাদা সময় রেখে দেওয়াই ভালো। কারণ দুপুরের আগে পুরো সময়ের পরিশ্রমের পর একা একা খেলে ব্যক্তিগত শক্তি ও চিন্তার উৎসগুলোকে সাজিয়ে ফেলা যায়। আর এ সময় অব্যশই মোবাইল থেকে দূরে থাকতে হবে। কারণ একটি ধারাবাহিক নির্দিষ্ট কাজের মাঝে অন্য কাজ পরিপূর্ণ চিন্তা ও সৃষ্টিশীলতায় ব্যাঘাত ঘটায়। তাই যদি কিছু চিন্তা করা প্রয়োজন হয়, তবে একা একা শুধু খাওয়ার কাজ চালিয়ে গেলেও চিন্তায় ব্যাঘাত ঘটে না।
পোজেন আরো বলেন, দুপুরের এই সময়টাকে এনার্জির অভাব দেখা দেয়। তখন একটু হেঁটে আসা বা বিশ মিনিট ঝিমিয়ে নেওয়া বেশ কাজে দিতে পারে। তবে যাই করুন একা একা শুধু ওই কাজটিই করতে হবে।
খাওয়ার জন্য টেবিল ছেড়ে কোথাও বসলে হয়তো একটু বেশি সময় নষ্ট হবে। কিন্তু এর ফলে আপনার উৎপাদনশীলতা ও কাজের যে এনার্জি ফিরে আসবে তাতে সব পুষিয়ে নিতে পারবেন।
তাই কাজের টেবিলে বসে খাওয়ার বিষয়টি এড়িয়ে চলাই উত্তম। খাওয়ার জন্য সত্যিকার ব্রেক নিতে হবে। তা ছাড়া লাঞ্চের সময়টি অন্যান্য কর্মীদের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তোলার আদর্শ সময়। তাই এই সময় মানসিকভাবে ফ্রেশ হতে পারলে তা কাজের জন্যেও আপনাকে ফ্রেশ করে দেবে। সূত্র : বিজনেস ইনসাইডার