সময়ের সঙ্গে স্মার্টফোনে আসছে নতুন নতুন ফিচার। শক্তিশালী র্যাম ও উন্নত ক্যামেরার পাশাপাশি দীর্ঘস্থায়ী ব্যাটারির দিকে নজর দিচ্ছেন প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলো। তাই নতুন স্মার্টফোন কিনতে গিয়ে কনফিউশন হওয়াই স্বাভাবিক।
জেনে নিতে পারেন ভালো স্মার্টফোন কেনার ৬ টিপস –
১) র্যাম ও প্রসেসর : যে কোনও ফোন কেনার আগেই ক্রেতারা নজর দেন র্যাম ও প্রসেসরের দিকে। র্যাম যত বেশি হবে, ফোনের অ্যাপগুলো ততটাই মসৃণভাবে চলবে। আপনার প্রায়োরিটি যদি গেমিং হয়, তবে এটি বেশ গুরুত্বপূর্ণ। তাই ফোন কেনার সময়ে নজর দিন র্যামের সংখ্যার দিকে। তার সঙ্গে দেখুন সব থেকে ভাল প্রসেসর কোন ফোনে। আপনার বাজেটে সবচেয়ে বেশি র্যাম পাবেন এমন ফোনই নির্বাচন করুন।
২) ইন্টারনাল স্টোরেজ: ফোন কেনার ক্ষেত্রে এটিও বেশ গুরুত্বপূর্ণ। এখন বেশিরভাগ ফোন ব্যবহারকারীই মেমরি কার্ড ব্যবহার করেন না। তাই পর্যাপ্ত স্টোরেজ থাকা গুরুত্বপূর্ণ। ফোন কেনার সময়ে অন্তত ৩২ জিবি ইন্টারনাল স্টোরেজের ফোন কেনার চেষ্টা করুন।
৩) ক্যামেরা: যত দিন যাচ্ছে স্মার্টফোনে ক্যামেরার মান উন্নততর হচ্ছে। এখনকার কম দামের ফোনেই বেশ ভাল মানের ক্যামেরা দিচ্ছে একাধিক প্রতিষ্ঠান। তবে শুধু ক্যামেরার মেগাপিক্সেল দেখে ফোন নির্বাচন করবেন না। কারণ বেশি মেগাপিক্সেলের ক্যামেরার গুণগত মানও কম হতে পারে। তাই ফোন কেনার আগে বিভিন্ন ব্লগ দেখে যাচাই করে নিন ক্যামেরার মান।
৪) ব্যাটারি: অন্যান্য স্পেসিফিকেশন যতই ভাল হোক না কেন, ব্যাটারি দীর্ঘস্থায়ী না হলে সব বৃথা। ব্যাটারি মাপা হয় mAh এককে। ফোন কেনার সময়ে দেখে নিন ফোনের ব্যাটারির mAh কত। এখনকার বেশিরভাগ সংস্থা ফাস্ট চার্জিংয়ের সুবিধা দেয়। ফোন কেনার সময় নজর রাখুন সেই দিকে।
৫) ডিসপ্লে: ফোনের ডিসপ্লে যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ একটি অংশ। আপনার দিনের বেশ খানিকটা অংশ ফোনের পর্দায় তাকিয়ে কাটবে। গেমিং বা ভিডিয়ো দেখার মতো কাজের জন্য পরিষ্কার ঝকঝকে ডিসপ্লে জরুরি। তাই ফোন কেনার সময়ে নজরে রাখুন পর্দার রেজোলিউশন। তার সঙ্গে ফোনের ক্রিন-টু-বডি রেশিও জেনে নিন।
৬) অপারেটিং সিস্টেম: এখনকার প্রায় সব বাজেট ফোনই অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেমে চলে। ফোন কেনার সময়ে দেখে নিন ফোনে সর্বশেষ অ্যান্ড্রয়েডের সংস্করণটি আছে কিনা। না থাকলেও আপডেট করা সম্ভব কি না জেনে নিন। তা না হলে বিভিন্ন অ্যাপসের নতুন নতুন ফিচারগুলো থেকে বঞ্চিত হবে আপনার ফোন।