বাংলাদেশে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর হার বিশ্বের যেকোনো দেশের তুলনায় কম বলে উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বৈশ্বিক করোনা সংকটের শুরু থেকেই সরকার সবাইকে নিয়ে সমন্বিতভাবে কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছে। এখন প্রায় ৭৩টি কেন্দ্রে করোনা পরীক্ষা হচ্ছে। দিন দিন সক্ষমতা বাড়ছে। কেন্দ্র থেকে উপজেলা পর্যায় পর্যন্ত করোনা পরীক্ষার সুযোগ বৃদ্ধি করা হয়েছে।
তিনি বলেনে, সরকার যদি অদক্ষ ও অযোগ্য হতো তাহলে এসময় এমন ব্যবস্থা নিতে পারত? ৭২ হাজার ৬২৫ জন করোনা রোগী সুস্থ হয়েছে। সুস্থতা হার ৪৪ দশমিক ৭২ শতাংশ। মৃত্যুর হার শতকরা ১ দশমিক ২৬। মৃত্যুর হার বিশ্বের যেকোনো দেশের তুলনায় কম। ইউরোপ-আমেরিকা এমনকি প্রতিবেশী দেশ ভারত, পাকিস্তানের তুলনায় এখানে মৃত্যুর হার অনেক কম। যদিও সরকার একটি মৃত্যুও প্রত্যাশা করে না। কিন্তু বিএনপি শুধু মৃত্যু সংখ্যা দেখে। অথচ এতো সংখ্যক লোক সুস্থ হচ্ছে তা তাদের চোখে পড়ে না। তাদের দৃষ্টিভঙ্গি যে নেতিবাচক এটাই তার প্রমাণ।
সোমবার (৬ জুলাই) তার সরকারি বাসভবন থেকে ব্রিফিংকালে মন্ত্রী একথা বলেন। এসময় তিনি বিএনপির নেতাদের বক্তব্যের জবাবে বলেন, বৈশ্বিক মহামারি করোনা সংকটে বিএনপির কার্যক্রম শুধু বিবৃতির মধ্যেই সীমাবদ্ধ।
তিনি বলেন, করোনা সংকটে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন না করে বিএনপি চিরাচরিত নালিশের রাজনীতি আঁকড়ে ধরেছে এবং করোনাকালে আজগুবি সব তথ্য দিয়ে জনমনে বিভ্রান্তি তৈরি করছে। তাই তাদের বলবো বিভাজন ও বৈরিতার রাজনীতি পরিহার করে মানুষ বাঁচানো ও করোনা প্রতিরোধের লড়াই এগিয়ে আসার।
ওবায়দুল কাদের বলেন, বিশ্বের অনেক দেশই নিজেদের সামর্থ্য দিয়ে করোনা মোকাবিলায় হিমশিম খাচ্ছে। বহু দেশ নানা সীমাবদ্ধতা সত্ত্বেও তাদের স্বাস্থ্য কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। সরকার সীমাবদ্ধতা নিয়ে করোনা সংকট মোকাবিলায় সর্বাত্মক প্রয়াস অব্যাহত রেখেছে। দিনদিন শেখ হাসিনা সরকার সুরক্ষা সামগ্রী বাড়াচ্ছে। ভেন্টিলেশন ব্যবস্থা ও ডাক্তার সংখ্যা বৃদ্ধি করছে। সরকারের সমন্বিত দক্ষতার কারণে এসব করা সম্ভব হচ্ছে। অথচ বিএনপির কার্যক্রম শুধু বিবৃতির মধ্যেই সীমাবদ্ধ। বিএনপির মুখে দুর্নীতির বিরুদ্ধে কথা বলা হাস্যকর। দুর্নীতিতে পরপর পাঁচবার বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন এ দল লুটপাটের জন্যই নির্বাচনে জনগণের কাছ থেকে বারবার প্রত্যাখ্যান হয়েছে।
সরকারের বিরুদ্ধে বিএনপির দুর্নীতির অভিযোগের জবাবে মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দুর্নীতির বিরুদ্ধে অবস্থান এবং তার ব্যক্তিগত সততা দেশে-বিদেশে সমাদৃত ও প্রশংসিত। দুর্নীতিবাজ যেই হোক না কেন, দলীয় পরিচয় হলেও তাকে ছাড় দেওয়া হচ্ছে না। এটা হল বাস্তবতা।