কালভার্ট নির্মাণে যেখানে রড ব্যবহার করে ঢালাই করতে হয়, সেখানে সেই রডের পরিবর্তে ঢালাই করা হচ্ছে বাঁশের ফালি দিয়ে!

ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়া উপজেলার আছিম পাটুলী ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ডের গুদারবন্দ নামে একটি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। স্থানীয় সরকার সহায়তা প্রকল্পের (এলজিএসপি) আওতায় নির্মাণাধীন দুটি কালভার্টের একটিতে রডের বদলে বাঁশের ফালি ও আরেকটিকে ব্যবহার করা হয়নি কিছুই।

জানা গেছে, ওই ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ডের স্থানীয় ইউপি সদস্য মোহাম্মাদ আলীর তত্ত্বাবধানে একটি কালভার্ট নির্মিত হচ্ছে। শুধু তিনিই নন, একই সড়কে আরেকটি প্রকল্পে একই রকম অনিয়ম করেছেন নারী ইউপি সদস্য রাশিদা বেগম। তবে এক্ষেত্রে মোহাম্মদ আলী বাঁশের ফালি ব্যবহার করলেও রাশিদা কোন কিছু না দিয়েই ঢালাই সম্পন্ন করেছেন!

শনিবার (৪ জুন) এমন দৃশ্যের ছবি তুলে বায়েজিদ আহমেদ নামে স্থানীয় এক যুবক সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে প্রকাশ করেন। যা এক এক করে ছড়িয়ে পড়ে। এরপরই তোলপাড় সৃষ্টি হয় জেলাজুড়ে। সেই ছবি ফেসবুকে পোস্ট করে নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান অনেকেই।

বিষয়টি জানাজানি হওয়ায় খবর পেয়ে বিকেলেই ঘটনাস্থলে ছুটে যান ময়মনসিংহের স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক একেএম গালিভ খান ও ফুলবাড়িয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আশরাফুল সিদ্দিক। পরিদর্শনে গিয়ে ঘটনার সত্যতাও দেখেন তারা।

ইউনিয়ন পরিষদ সূত্রে জানা যায়, গত অর্থবছরের বরাদ্দ থেকে আছিম পাটুলী ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের দুটি প্রকল্পে সাড়ে তিন লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়। দুই লাখ টাকা বরাদ্দে ইউপি সদস্য মোহাম্মদ আলীকে একটি এবং দেড় লাখ টাকা বরাদ্দের একটি প্রকল্পে ইউপি সদস্য রাশিদাকে দায়িত্ব হয়।

এ বিষয়ে ইউপি সচিব হাজেরা খাতুন জানান, প্রকল্পের কাজ চলাকালীন এলজিইডির তদারকি কর্মকর্তা ও আমার উপস্থিত থাকার কথা ছিল। কিন্তু তারা কাউকে কিছু না বলে ছুটির দিন শুক্রবার ঢালাই করেছেন।

ঘটনাস্থল থেকে ফিরে স্থানীয় সরকার বিভাগের উপপরিচালক একেএম গালিভ খান জানান, পরিদর্শনে গিয়ে বিষয়টি সত্যতা মিলেছে। এ ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।