শুক্রবার হঠাৎ লাদাখ সীমান্ত সফরে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। চৌকি থেকে সেনা হাসপাতাল, ঘুরে ঘুরে কথা বললেন বাহিনীর কর্তা ও জওয়ানদের সঙ্গে।
তার পরে নিমুতে সামরিক সমাবেশে দাঁড়িয়ে চীনের নাম না নিয়ে হুঁশিয়ারি দেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
মোদী বলেন, ইতিহাস সাক্ষী, বিস্তারবাদীরা মুছে গিয়েছে।
ভারতের তিন বাহিনীর প্রধান চিফ অব ডিফেন্স স্টাফ জেনারেল বিপিন রাওয়াত এবং স্থলবাহিনীর প্রধান মনোজ মুকুন্দ নরবণেকে সঙ্গে নিয়ে লাদাখ যান প্রধানমন্ত্রী। লেহ থেকে তিনি এলএসি-র দিকে ফরওয়ার্ড পোস্ট ঘুরে দেখেন। কথা বলেন সীমান্তে মোতায়েন জওয়ানদের সঙ্গে। ১৫ জুন রাতে গালওয়ানের সংঘর্ষে আহত জওয়ানদের তিনি দেখতে যান।
সেনাদের মনোবল চাঙ্গা করতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেন, গালওয়ানে যে বীরত্ব আপনারা দেখিয়েছেন, তা সারা দেশ মনে রাখবে। আপনারা গোটা বিশ্বকে বুঝিয়ে দিয়েছেন, ভারত তথা ভারতীয় সেনার শক্তি কতটা। আপনাদের সংকল্প এই উপত্যকার চেয়েও শক্ত। আপনাদের ইচ্ছাশক্তি এই পর্বতের মতোই অটল।’
তিনি বলেন, ফের একবার আপনাদের সবাইকে অভিনন্দন জানাচ্ছি। আমরা সবাই মিলে আত্মনির্ভর ভারত গড়ে তুলব। ভারতের স্বপ্নপূরণে ১৩০ কোটি ভারতবাসীও পিছিয়ে থাকবে না। আমরা সবাই মিলে এবং বিশেষ করে আপনারা সীমান্তে দেশকে রক্ষা করছেন। আপনাদের কাছ থেকে অনুপ্রেরণা নিয়ে আমরা কঠিন চ্যালেঞ্জকেও মোকাবিলা করব।
মোদি বলেন, আজ গোটা দেশ একজোট হয়ে লড়ছে। সব দেশ আজ বিস্তারবাদের বিরুদ্ধে একজোট। যার মাথায় বিস্তারবাদের ভূত চাপে, সে শান্তি নষ্ট করে। বিস্তারবাদই এখন সব জায়গায় প্রাসঙ্গিক, বিস্তারবাদীরা শান্তির পক্ষে বিপজ্জনক। বিস্তারবাদের যুগ শেষ হয়ে গিয়েছে। গোটা বিশ্ব আজ বিকাশবাদের পথে চলতে চায়।
তিনি বলেন, গোটা বিশ্ব এই বিস্তারবাদী শক্তির বিরোধিতা করার বিষয়ে মনস্থির করে ফেলেছে। ইতিহাস সাক্ষী, এই সব শক্তি মুছে গিয়েছে, অথবা নত হতে বাধ্য হয়েছে। কিন্তু কেউ কেউ এখনও বিস্তারবাদে বিশ্বাসী। গোটা বিশ্ব আজ বিকাশবাদে বিশ্বাসী। ভারতীয় সেনার আত্মবিশ্বাস আমি বুঝতে পারছি। ভারতের শত্রুতা সেনার শক্তি দেখেছে।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, আমরা হলাম সেই লোক, যাঁরা বংশীধারী শ্রীকৃষ্ণের ধ্বজা ধরি, আবার সুদর্শন চক্রধারী শ্রীকৃষ্ণকেও আদর্শ মানি।