প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের সাথে ১৯ দিন লড়াই করার পর সুস্থ হয়ে উঠলেন পাকিস্তানের সাবেক অধিনায়ক শহিদ আফ্রিদি। শহিদ আফ্রিদির সাথে তার স্ত্রী এবং দুই কন্যাও করোনামুক্ত হয়েছেন। এক টুইট বার্তায় আফ্রিদি নিজেই করোনামুক্ত হওয়ার কথা জানান। গত ১৩ জুন নিজেকে করোনা আক্রান্ত ঘোষণা করেছিলেন তিনি।

পাকিস্তানের সাবেক এই অলরাউন্ডারের পর করোনা আক্রান্ত হন তার স্ত্রী এবং দুই মেয়ে আকসা এবং আনশা। কিন্তু সর্বশেষ করোনা পরীক্ষায় প্রত্যেকেরই রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে বলে জানিয়েছেন আফ্রিদি। আফ্রিদি বৃহস্পতিবার (২ জুলাই) এক টুইটবার্তায় লেখেন, ‘আলহামদুলিল্লাহ, করোনা আক্রান্ত আমার স্ত্রী এবং দুই কন্যা আকসা এবং আনশার শরীরে পুনরায় যে কোভিড-১৯ পরীক্ষা হয়েছে তাতে তারা সম্পূর্ণ সুস্থ।’

প্রায় তিন সপ্তাহ পর স্ত্রী এবং কন্যাসন্তানদের সঙ্গে নিজেও সুস্থ হওয়ার ঘটনায় স্বাভাবিকভাবেই স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছেন আফ্রিদি। অনুরাগীদের উদ্দেশ্যে আফ্রিদি বলেছেন, ধন্যবাদ প্রত্যেককে যারা প্রত্যেকে দুঃসময়ে পাশে থেকেছেন, আমাদের জন্য প্রার্থনা করেছেন। সর্বশক্তিমান আপনাদের ভালো রাখুন। আবার পরিবারকে সময় দিতে পারব। আমি আমার ছেলেমেয়েদের খুব মিস করছিলাম।

উল্লেখ্য, গত ১৩ জুন করোনা আক্রান্ত হওয়ার খবর অনুরাগীদের সঙ্গে শেয়ার করে আফ্রিদি সোশ্যাল মিডিয়ায় লেখেন, ‘বৃহস্পতিবার থেকেই শরীরটা ভালো যাচ্ছিল না। খুব খারাপ বোধ করছিলাম। গায়ে খুব ব্যাথ হচ্ছিল। উপায় না দেখে করোনা পরীক্ষা করাই এবং দুর্ভাগ্যবশত রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে। দ্রুত সুস্থতার জন্য তোমাদের প্রার্থনা চাইছি, ইন শা আল্লাহ।’

আফ্রিদির আগে হাইপ্রোফাইল ক্রিকেট ব্যক্তিত্ব হিসেবে করোনা আক্রান্ত হয়েছিলেন পাকিস্তানের সাবেক ওপেনার তৌফিক উমর। যদিও পরবর্তীতে তিনিও করোনা মুক্ত হয়েছেন। সাম্প্রতিক সময়ে কোভিড-১৯ আক্রান্ত হয়েছিলেন পাকিস্তানের ইংল্যান্ডগামী স্কোয়াডের ১০ জন ক্রিকেটার। যদিও পরবর্তীতে তাদের মধ্যে ৬ জন সুস্থ হয়ে উঠেছেন এবং শুক্রবার (৩ জুলাই) ইংল্যান্ডে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।