১৫ শ’ শতাব্দীতে মিং রাজবংশের সময়ে এক ধরনের চাইনিজ পেপারে সোনার প্রলেপে লেখা পবিত্র কোরআনের বিরল পাণ্ডুলিপি সাড়ে ৮ মিলিয়ন ডলারে বিক্রি হয়েছে। টাকার অংকে এর মূল্য দাঁড়ায় ৭৩ কোটি ১৬ লাখ ৪০ হাজার।

২৬ জুন লন্ডনের ক্রিস্টি নিলাম সেন্টারে তৈমুরিদ যুগের এই ‘তিমুরিদ কোরআন’ পাণ্ডুলিপিটি বিক্রির জন্য উপস্থাপন করা হয়েছিল। ইরানে লিখিত পাণ্ডুলিপিটি নিলামে ৮.৬ মিলিয়ন ডলারে বিক্রি হয়। খবর মিডল ইস্ট মনিটরের।

নিলাম বিশেষজ্ঞরা আগেই ধারণা করেছিলেন, এ পাণ্ডুলিপি ৮০০ ডলার থেকে বিট শুরু হবে। অবশেষে সব অনুমানকে ছাড়িয়ে ১২ গুণ বেশি দামে (৭০ লাখ পাউন্ডের বেশি) বিক্রি হলো। বিশেষ চাইনিজ পেপারে লিখিত সাড়ে ৫০০ বছরের পুরোনো পবিত্র কোরআনের পাণ্ডুলিপিটি দেখতে যেমন সুন্দর তেমনি আকর্ষণীয়। সুন্দর ও নিখুঁতভাবে লিখিত এ পাণ্ডুলিপি দেখলেই হৃদয়ে অন্য রকম এক শিহরণ জাগ্রত হয়। বহু শতাব্দী ধরে সংরক্ষিত এ পাণ্ডুলিপির রঙ ও উজ্জ্বলতা অক্ষুন্ন রয়েছে। এর পৃষ্ঠা এবং প্রচ্ছদে স্বর্ণের কাজ করা রয়েছে।

কোরআনে কারিমের ভেতরের কারুকাজ, ছবি: সংগৃহীত

নাসখ আরবি লিপিতে রচিত পাণ্ডুলিপিটি তিমুরিড-যুগের (১৩০৭-১৫০৭ সাল), যা তুর্ক-মঙ্গোল বংশোদ্ভূত সুন্নি মুসলিম বংশ এবং এর প্রতিষ্ঠাতা তিমুরের নামানুসারে (যা তামেরলেন নামেও পরিচিত)। এটা সে সময় সমৃদ্ধ শৈল্পিক আদান-প্রদানের প্রমাণ বহন করে। পাণ্ডুলিপিতে বর্ণিল মিং রাজবংশের পৃষ্ঠাগুলোর মধ্যে নীল, ফিরোজা, গোলাপী, বেগুনি, কমলা, সবুজ এবং ক্রিম রঙ রয়েছে। ‘ব্যতিক্রমী’ হিসেবে বর্ণিত এটির ক্যালিগ্রাফিটি মার্জিত নীল এবং সোনার লাইনসহ এবং সোনার গোলাকার শ্লোক চিহ্নগুলো দিয়ে সজ্জিত পৃষ্ঠা। ক্রিস্টির নিলামে এ ছাড়াও ৩৫টি ইরানি শিল্পকর্ম অন্তর্ভুক্ত ছিল।