যতই সময় গড়াচ্ছে ততই বিশ্বব্যাপী আতঙ্ক ছড়াচ্ছে প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাস। এখন পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে ৩২৮৩ জনের আর আক্রান্ত হয়েছেন ৯৫ হাজার মানুষ। এরই মধ্যে বিশ্বের কমপক্ষে ৭৫টি দেশে ছড়িয়ে পড়েছে প্রাণঘাতী এই ভাইরাসটি।

করোনার আতঙ্কে এসব দেশের মানুষ এখন ঘর থেকেও বের হতে চান না। তবে আতঙ্কিত না হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। তারা বলছেন, কিছু নিয়ম মেনে চলাফেরা করলেই এই ভাইরাসে থেকে বাঁচা সম্ভাব অনেকটাই। এছাড়া ঘরে বসেই জানতে পারবেন আপনি করোনায় আক্রান্ত কী না?

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই ভাইরাসে কেউ আক্রান্ত হলে তা সাথে সাথে বুঝা যায় না। এর লক্ষণ বুঝতে কিছুটা সময় লাগে। সাধারণত করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে জ্বর বা কাশি নিয়ে হাসপাতালে যাওয়ার আগেই ফুসফুসের ৫০% ফাইব্রোসিস (সূক্ষ্ম অংশুসমূহের বৃদ্ধি) তৈরি হয়ে যায়, যার মানে অনেক দেরি হয়ে গেছে।

এরই মধ্যে তাইওয়ানের বিশেষজ্ঞরা একটি নতুন পদ্ধতি আবিষ্কার করেছেন। আপনি করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন কি না, তা আপনি নিজেই পরীক্ষা করতে পারবেন। যার জন্য প্রত্যেকদিন একটু কস্ট করতে হবে। প্রতিদিন সকালে উঠেই কয়েক সেকেন্ডের পরীক্ষায় নিশ্চিন্ত হতে পারেন।

পরীক্ষাটা হলো: পরিচ্ছন্ন পরিবেশে লম্বা একটা শ্বাস নিয়ে সেটাকে দশ সেকেন্ডের কিছুটা বেশি সময় ধরে আটকে রাখুন। যদি এই দম ধরে রাখার সময়ে আপনার কোনো কাশি না আসে, বুকে ব্যথা বা চাপ অনুভব না হয়, মানে কোনো প্রকার অস্বস্তি না লাগে, তার মানে আপনার ফুসফুসে কোনো ফাইব্রোসিস তৈরি হয়নি অর্থাৎ কোনো ইনফেকশন হয়নি, আপনি সম্পূর্ণ ঝুঁকিমুক্ত আছেন।

জাপানের চিকিৎসকরা আরেকটি সহজ উপদেশ দিয়েছেন যে, সবাই চেষ্টা করবেন যেন আপনার গলা ও মুখের ভেতরটা ভেজা ভেজা রাখতে। কখনো শুকনো যেন না হয়ে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। তাই প্রতি পনেরো মিনিট অন্তর একচুমুক হলেও পানি পান করুন।

তারা কারণ হিসেবে বলেছেন, কোনোভাবে ভাইরাসটি আপনার মুখ দিয়ে শরীরে প্রবেশ করলেও সেটি পানির সঙ্গে পাকস্থলীতে চলে যাবে, আর পাকস্থলীর এসিড মুহূর্তেই সেই ভাইরাসকে মেরে ফেলতে সক্ষম।