এক টুকরো বরফ কত কাজে লাগতে পারে জানেন? শুধু সরবত বা ঠান্ডা পানীয়তে বা চোট আঘাতের সাময়িক উপশমেই নয়, এক কুচি বরফ বা আইস কিউব এমন অনেক কাজে লাগে যা শুনলে হয়তো আপনি অবাক হয়ে যাবেন! আসুন এক কুচি বরফ বা আইস কিউবের অসাধারণ কয়েকটি ব্যবহার সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক…
১) জামায় হঠাৎ খাবার পড়ে বিশ্রী দাগ হয়ে গেলে চিন্তা করার কিছু নেই! সামান্য পানি দিয়ে জামার দাগ লাগা অংশটা প্রথমে মুছে নিন। এর পর বরফ দিয়ে জায়গাটা ঘষে নিলে দাগ অনেকটাই ফিকে হয়ে যাবে।
২) জামা-কাপড়ে চুইংগাম আটকে গেছে? চুলকে আগে একটু নুন জলে ভিজিয়ে নিন। এর ফলে ভেজা চুলের তাপমাত্রা কমে আসবে। এর পর চুলে আটকে থাকা চুইংগামের ওপরে বরফের টুকরো ঘোষতে থাকুন। নুন জলের প্রভাবে বরফ গলতে সময় লাগবে। ফলে বরফ ভাল ভাবে কাজ করবে। আর বরফের প্রভাবে ঠাণ্ডা হয়ে শক্ত হয়ে আসবে চুইংগামের টুকরোটি। ফলে এটি সহজেই চুল থেকে আলাদা হয়ে যাবে, ফলে আর চুল কেটে চুইংগাম আলাদা করতে হবে না!
৩) জামা-কাপড় ইস্ত্রি করার আগে কাপড়ের কুচকে যাওয়া অংশের উপর বরফ ঘষে নিন। দেখবেন অনেক সহজেই ইস্ত্রি করা যাচ্ছে।
৪) এক টুকরো বরফ বা আইস কিউব দিয়ে মাইক্রোওভেনে ভাত গরম করতে দিন। এর ফলে তাপমাত্রা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বরফ গলে জল পাত্রের নীচের দিকে যেতে থাকবে আর গোটা ভাত সমান ভাবে গরম হবে।
৫) পায়ে কাঁটা ফুটলে সেটি বের করতে খুব সমস্যা হয়। একে তো কাঁটা ফুটে থাকার যন্ত্রণা, তার উপর সেটিকে রেব করার চেষ্টায় খোঁচাতে গেলে তো কথাই নেই! তাই কাঁটা ফুটে থাকা জায়গায় আগে বেশ কিছু ক্ষণ এক টুকরো বরফ ঘষে নিন। এর ফলে ক্ষত স্থানটি অসাড় হয়ে যাবে। এতে কাঁটা বের করতে যন্ত্রণা অনেক কম অনুভূত হবে।
৬) কোনও কারণে ত্বকে র্যাশ বেরলে আক্রান্ত অংশে এক টুকরো বরফ বা আইস কিউব দিয়ে ভাল করে ঘষে নিন। ত্বকের জ্বালা বা অস্বস্তি বোধ অনেকটাই কমে যাবে।