বাংলাদেশে করোনা মহামারী সময়ের মধ্যে প্রায় ২৪ লাখ শিশুর জন্ম হবে। আর বৈশ্বিকভাবে এর প্রভাবে জন্ম হবে প্রায় ১১ কোটি ৬০ লাখ শিশুর। গত ১১ মার্চ কোভিড-১৯ মহামারী হিসেবে চিহ্নিত হওয়ার ৪০ সপ্তাহের মধ্যে এসব শিশুর জন্ম হওয়ার কথা। এই মহামারীর প্রভাবে বিশ্বজুড়ে স্বাস্থ্যসেবা চাপের মুখে এবং চিকিৎসা সরঞ্জাম সরবরাহ প্রবাহ ব্যবস্থা বিঘ্নিত হচ্ছে বলে জাতিসংঘ শিশু তহবিল, ইউনিসেফের ঢাকা অফিস থেকে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৭ মে) ইউনিসেফের ঢাকা অফিস থেকে পাঠানো প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। ইউনিসেফ বলছে, প্রসূতি মা ও নবজাতকদের রূঢ় বাস্তবতার সম্মুখীন হতে হবে। বিশ্বজুড়ে লকডাউন ও কারফিউয়ের মতো নিয়ন্ত্রণমূলক নানা পদক্ষেপ; মহামারী সামলাতে স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রগুলোর হিমশিম অবস্থা ও সরঞ্জামের ঘাটতি; এবং ধাত্রীসহ অন্যান্য স্বাস্থ্যকর্মীরা কোভিড-১৯ রোগীদের সেবাদানে নিয়োজিত হওয়ায় শিশুর জন্মের সময় দক্ষ লোকবলের ঘাটতি থাকবে।
ইউনিসেফের নির্বাহী পরিচালক হেনরিয়েটা ফোর বলেন, বিশ্বজুড়ে লাখ লাখ মা মাতৃত্বের স্বাদ নেওয়ার স্বপ্ন বুনছেন। তারা এখন এমন একটি বিশ্ব বাস্তবতায় আছেন, যেখানে একটি নতুন জীবন আনার জন্য আলাদা প্রস্তুত হতে হবে। যেখানে সংক্রমিত হওয়ার ভয়ে অন্তঃসত্ত্বা মায়েরা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে যেতে ভয় পাচ্ছেন। বা লকডাউন ও স্বাস্থ্য ব্যবস্থা চাপের মুখে থাকায় তারা জরুরি সেবা গ্রহণ থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। করোনা ভাইরাস মহামারী মাতৃত্বের ওপর কতটা প্রভাব ফেলছে, তা এখন কল্পনা করাও কঠিন।