পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের বিরুদ্ধে আনা অনাস্থা প্রস্তাব খারিজ ও ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলি ভেঙে দেওয়ার সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে দায়ের হওয়া মামলার রায় মঙ্গলবার (৫ এপ্রিল) পর্যন্ত স্থগিত রেখেছে দেশটির সুপ্রিম কোর্ট। সোমবার ( ৪ এপ্রিল) শুনানি শেষে মামলার রায় স্থগিত রাখেন আদালত।

সোমবার শুনানির পর প্রধান বিচারপতি উম আতা বন্দিয়ালের বেঞ্চ এ সিদ্ধান্ত ঘোষণা করে। এর আগে পাকিস্তানের প্রধান বিচারপতি উমর আতা বন্দিয়াল বলেন যে জাতীয় পরিষদের স্পিকার সংবিধানের ৫ অনুচ্ছেদ উল্লেখ করলেও অনাস্থা প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করা যাবে না।

বিচারপতি বন্দিয়ালের নেতৃত্বে বিচারপতি মুনীব আখতার, বিচারপতি আইজাজুল আহসান, বিচারপতি মাজহার আলম, বিচারপতি জামাল খান মন্দোখেলের সমন্বয়ে গঠিত সুপ্রিম কোর্টের পাঁচ সদস্যের বৃহত্তর বেঞ্চ একদিন আগে যৌথ বিরোধী দলের দায়ের করা মামলার শুনানি শুরু করেন।

ইমরান খানের বিরোধীদের যুক্তি, ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলির অধিকাংশ সদস্য যখন প্রধানমন্ত্রীর প্রতি আস্থা হারিয়েছেন, তখন অনাস্থা প্রস্তাব আনাটা সাংবিধানিক প্রক্রিয়ার মধ্যেই পড়ে। ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলিতে বিরোধী স্পিকার আসাদ কাইসারের বিরুদ্ধেও অনাস্থা প্রস্তাব জমা দেওয়ায় রোববার অধিবেশনে তিনি ছিলেন না। তারই সই করা নির্দেশ পড়েন ডেপুটি স্পিকার সুরি।

কিন্তু পাকিস্তানের সংবিধান বলছে, একবার প্রক্রিয়া শুরুর পরে আস্থা বা অনাস্থা প্রস্তাব নিয়ে ভোটাভুটি কেউ ঠেকাতে পারেন না। স্পিকার বা প্রেসিডেন্টও নন। আর যে প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনা হয়েছে, তিনি প্রেসিডেন্টকে ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলি ভেঙে দেওয়ার সুপারিশও করতে পারেন না। কাজেই শুধু স্পিকার নন, প্রধানমন্ত্রী এবং প্রেসিডেন্টও সংবিধান লঙ্ঘন করেছেন বলে সুপ্রিম কোর্টে অভিযোগ আবেদনকারীদের।

এদিকে, ইমরান খান তাকে সরানোর ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্রের ষড়যন্ত্রের অভিযোগ আনলেও বিষয়টি প্রত্যাখ্যান করছে দেশটি।

২০১৮ সালের নির্বাচনে জিতে প্রধানমন্ত্রীর পদে বসেন ইমরান খান। সম্প্রতি ইমরান খানের বিরুদ্ধে বিরোধীরা অনাস্থা প্রস্তাব আনলে সেটি খারিজ হয় রোববার ৩ এপ্রিল। এরপর প্রেসিডেন্টের কাছে ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলি ভেঙে ভোটের আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। তার প্রস্তাবে অ্যাসেম্বলি ভেঙে দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট আরিফ আলভি।