বোঝা যায়। কেউ কেউ আবার নিত্যদিনের হাঁটাও সেরে ফেলেন তখন। এর দেখাশোনার জন্য একজনকে নিয়োগ দিয়েছেন তাঁরা।
এখন শহরের বাড়িগুলোর সামনে বাগান করার চল শুরু হয়েছে। অ্যাপার্টমেন্টের সামনের অংশটুকু ফাঁকা রাখা বা সীমানাপ্রাচীরঘিরে ভবন তোলার দিন শেষ। রীতিমতো ঘোষণা দিয়ে বলে দেওয়া হচ্ছে, বাড়ির কতটা অংশজুড়ে থাকবে শখের বাগান। বৃক্ষরোপণ আন্দোলন বলি আর যা-ই বলি, অনেকেই আনন্দের সঙ্গেই বাগান করছেন।
বাড়ির সামনের বাগান নিয়ে কথা হয় স্থপতি ও লেখক শাকুর মজিদের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘সবুজ পরিসর রাখা পরিবেশের জন্য উপকারী। রাজউকের নতুন নিয়মে বেশ কিছু জায়গা বাগান হিসেবে ব্যবহারের জন্য বলা হয়েছে। অনেক আবাসন নির্মাতাপ্রতিষ্ঠান সেটা পূরণ করে। তবে দিন দিন আমাদের চোখের সামনে থেকে সবুজের পরিমাণ কমে যাচ্ছে। তাই শুধু নান্দনিকতাই নয়, এটা আমাদের জন্য জরুরিও।’
‘পরিবেশবান্ধব স্বপ্নিল আবাসন’ স্লোগান নিয়ে রিয়েল এস্টেট অ্যান্ড হাউজিং অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (রিহ্যাব) কাজ করছে। রিহ্যাবের বাড়ির সামনে এমনকি বাসার ছাদে বাগান করার বিষয়টায় উৎসাহ দিচ্ছে। রিহ্যাবের কার্যনির্বাহী সদস্য ও প্রগ্রেস হোল্ডিং লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ আল আমীন বলেন, ‘আমরা দিন দিন সবুজ থেকে দূরে সরে যাচ্ছি। তাই আধুনিক ফ্ল্যাটগুলোকে এমনভাবে তৈরি করা হচ্ছে, যাতে বাসার সামনে এক টুকরো সবুজ থাকে। আমরা আমাদের সবগুলো প্রকল্পতেই চেষ্টা করছি এমন জায়গা রাখতে।’
রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের পরিকল্পনা সদস্য শেখ আবদুল মান্নান। ‘গ্রিন স্পেস রাখার জন্য আমাদের একটি বিধিমালা রয়েছে। বাড়ির জায়গার ওপর ভিত্তি করে মূল জায়গার ২৫ থেকে ৫০ ভাগ জায়গা রাখা হয় গ্রিন স্পেসের জন্য। যে যতটুকু জায়গা গ্রিন স্পেসের জন্য রাখবে, সেই অনুযায়ী বাড়ির তলা বাড়ানোর সুযোগ রয়েছে। তবে বাড়ির মাস্টারপ্ল্যানের সময়ই সব নির্ধারণ করতে হবে।’
গাছের ধরন সম্পর্কে তাঁর বক্তব্য হলো, এসব বাগানে দেশি গাছের প্রতি প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে বেশি। অনেক আবাসনপ্রতিষ্ঠানই এখন নির্দিষ্ট জায়গা রেখে ফ্ল্যাটবাড়ির নকশা করছে। এ ক্ষেত্রে ফ্ল্যাটের বাসিন্দাদের চাহিদার কথা বিবেচনা করা হয়।