চিকিৎসা নেই। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে কোনো চিকিৎসা ছাড়াই সাত থেকে দশ দিনের মধ্যে, শিশুদের ক্ষেত্রে দুই থেকে তিন দিনের মধ্যেই কনজাংটিভাইটিস ভালো হয়ে যায়।
কীভাবে বুঝবেন চোখ উঠেছে
চোখ লাল হওয়া
চোখ জ্বলা এবং চোখে অস্বস্তি হওয়া
চোখ থেকে পানি বা শ্লেষ্মাজাতীয় পদার্থ বের হওয়া
অতিরিক্ত পিচুটি বের হতে থাকা।
কেন চোখ ওঠে
ভাইরাস, ব্যাকটেরিয়া, কোনো রাসায়নিক পদার্থ বা অ্যালার্জির কারণে চোখ উঠতে পারে । ভাইরাসজনিত কারণে হলে অনেক সময় এক চোখ আক্রান্ত হয় এবং তার সঙ্গে শ্বাসতন্ত্রের সংক্রমণও থাকতে পারে। ব্যাকটেরিয়াজনিত কারণে চোখ উঠলে কিছুটা হলদে রঙের পুঁজের মতো নিঃসরণ হবে চোখ থেকে।
চিকিৎসা
কনজাংটিভাইটিসে স্টেরয়েড-জাতীয় ওষুধ কখনোই ব্যবহার করা যাবে না। এতে চোখের ক্ষতি হতে পারে। এমনকি দৃষ্টিশক্তি নষ্ট হয়ে যেতে পারে। ব্যাকটেরিয়াজনিত কারণে কনজাংটিভাইটিস হলে চিকিৎসকের পরামর্শমতো নিতে হবে অ্যান্টিবায়োটিক ড্রপ। অ্যালার্জিজনিত কনজাংটিভাইটিসে লাগবে অ্যান্টিহিস্টামিন-জাতীয় ওষুধ। প্রাথমিকভাবে বাড়িতে পানিতে পরিষ্কার তুলা বা কাপড় ডুবিয়ে চোখে আলতোভাবে চেপে ধরতে পারেন। এ ছাড়া আক্রান্ত ব্যক্তির তোয়ালে, নিত্যদিনের ব্যবহার্য কাপড়ও অন্যদের ব্যবহার করা উচিত নয়। এগুলোকে সতর্কতার সঙ্গে স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে পরিষ্কার করতে হবে।