সিরীয়। অথচ দেশটির মোট জনসংখ্যা ছিলো দুই কোটির কাছাকাছি।
জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে ১৯৩ সদস্য রাষ্ট্রের প্রতিনিধিদের উদ্দেশ্য সিরিয়া পরিস্থিতি নিয়ে বক্তব্যে গুটারেস বলেন, “যে দেশটি বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের শরণার্থীদেরকে আশ্রয় দিত তাদের এই পরিণতি আমাকে মর্মাহত করছে।”
জাতিসংঘের ত্রাণ বিষয়ক উপ-প্রধান কর্মকর্তা কাইয়াং-ওয়া কাং জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে বলেন, সিরিয়ায় যুদ্ধের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ৪৩ লাখ শিশু। এছাড়া, আরো ১২ লাখ শিশু উদ্বাস্তু হয়েছে।
তিনি বলেন, আমরা সময়ের উল্টো দিকে চলছি। সংঘাত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে মানুষের ঢল আমাদের নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে।
সিরিয়ায় মানবিক ত্রাণ সরবরাহের সুযোগ চেয়ে এবং সরকারি বাহিনীর ব্যারেল বোমা ও অন্যান্য মরণাস্ত্রের ব্যবহার বন্ধে সর্বসম্মত প্রস্তাব পাস হয়েছে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে। প্রস্তাবনা না মানলে এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও হুঁশিয়ার করা হয়েছে।
জাতিসংঘ কূটনীতিক বলেন, সিরিয়া এ প্রস্তাবনা বাস্তবায়ন না করলে দেশটির বিরুদ্ধে কোনো পদক্ষেপে যেতে সস্মত নয় প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদের মিত্র রাশিয়া । তবে পশ্চিমা কূটনীতিকরা প্রস্তাব অমান্যের জন্য দেশটির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার পক্ষে জোর অবস্থানে রয়েছে।
জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক প্রধান নাভি পিল্লাই বলেছেন, শুধুমাত্র গত ফেব্রুয়ারিতে সিরিয়ায় ব্যারেল বোমার শিকার হয়ে শত শত মানুষের প্রাণহানি হয়েছে।
তিনি বলেন, গত ডিসেম্বরের ১৫ থেকে ২৮ তারিখের মধ্যে ১২ জেলায় আবাসিক এলাকা, মার্কেটে, স্কুল, হাসপাতাল ও বাস স্ট্যান্ডে ব্যারেল বোমা হামলায় শত শত মানুষ নিহত হয়।