এই সেশনের কার্যবিবরণী ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্য রাষ্ট্রগুলোর পাশাপাশি বাংলাদেশকেও পাঠাবে ইউরোপীয় পার্লামেন্ট। মাস ছয়েক আগেই স্যান্ডব্লাস্টেড জিনস প্যান্ট ইউরোপে রপ্তানি না করতে ইউরোপীয় ইউনিয়ন বাংলাদেশকে অনুরোধ করেছিল। তবে পোশাক রপ্তানিকারক সূত্রে জানা গেছে, বাংলাদেশের বড় পোশাক কারখানাগুলো এখন আর জিনসকে ফেড করতে স্যান্ডব্লাস্টেড প্রক্রিয়ায় যায় না। তবে ছোট কারখানাগুলো এখনো এ প্রক্রিয়া চালু রেখেছে।
বাংলাদেশের তৈরি পোশাক খাতের শ্রমিকদের নিরাপত্তা নিয়ে ইউরোপীয় পার্লামেন্টে ১৪ থেকে ১৭ জানুয়ারি পর্যন্ত আলোচনা হয়। সেখানে পার্লামেন্ট সদস্য পল মার্ফি এ ধরনের প্যান্ট আমদানির ওপর নিষেধাজ্ঞার দাবি জানান।
বিজিএমইএর সাবেক সভাপতি আব্দুস সালাম মুর্শেদী এ বিষয়ে গতকাল বৃহস্পতিবার কালের কণ্ঠকে বলেন, ইউরোপীয় ইউনিয়ন এ ধরনের প্যান্ট রপ্তানির ওপর নিষেধাজ্ঞার ব্যাপারে প্রায় ছয় মাস আগেই জানিয়েছে। কারখানার ভেতর বালুতে ভেজে ওই প্যান্ট তৈরি করা হয়। বাংলাদেশের বড় পোশাক কারখানাগুলোর কেউই এখন আর এ ধরনের প্যান্ট তৈরি করে না। তবে ক্রেতাদের চাহিদা থাকায় ছোট ছোট কারখানা স্যান্ডব্লাস্টেড জিনস তৈরি ও রপ্তানি করে। সেমিনারে ইউরোপীয় পার্লামেন্টের সদস্যরা বলেন, বাংলাদেশের তৈরি পোশাকের ৬০ শতাংশের ক্রেতা ইউরোপ। ক্রেতারা শ্রমিকদের মজুরি বাড়ানো, শ্রমিক অধিকার রক্ষা ও করপোরেট সোস্যাল রেসপনসিবিলিটির (সিএসআর) ক্ষেত্রে মালিকদের চাপ দিতে পারে। এ ছাড়া শ্রমিকদের পেশাগত স্বাস্থ্য ও কর্মক্ষেত্রে নিরাপত্তার বিষয়েও পোশাক মালিকদের চাপ দিতে পারেন ক্রেতারা।
তাজরীন ফ্যাশনস থেকে পোশাক আমদানি করে ইউরোপের এমন ক্রেতাদের পরামর্শ দিয়ে বলা হয়েছে, ওই কারখানায় নিহত শ্রমিক পরিবারগুলোকে যেন তাঁরা অর্থ সহায়তা দেন। এর মধ্য দিয়ে পরিবারগুলো আর্থিক সক্ষমতা অর্জন করতে পারবে। আর বহুজাতিক পোশাক আমদানিকারকদের উদ্দেশে বলা হয়েছে, ভবিষ্যৎ দুর্ঘটনা এড়াতে তারা যেন 'বাংলাদেশ অগি্ন ও ভবন নিরাপত্তা চুক্তি'তে স্বাক্ষর করে।
তাঁরা বলেছেন, বাংলাদেশে লাখ লাখ নারী শ্রমিক কাজ দিয়ে পোশাক খাতকে সহায়তা করছেন। না হলে তাঁদের দুর্ভোগ পোহাতে হতো। তবে এ ক্ষেত্রে বিশ্বজুড়ে স্বীকৃত নূ্যনতম শ্রমমান ও নিরাপত্তার বিষয়টি এড়ানোর কোনো সুযোগ নেই।