এশিয়ার প্রবৃদ্ধি হবে ৬.৬ শতাংশ। এ ছাড়া ২০১৪ সালেও এশিয়ার প্রবৃদ্ধি কমে হবে ৬.২ শতাংশ। ২০১২ সালে এ অঞ্চলের প্রবৃদ্ধি হয় ৬.১ শতাংশ। সংস্থা জানায়, এ অঞ্চলের প্রবৃদ্ধির নেতৃত্বে থাকা চীনের অর্থনীতি বছরের প্রথম ছয় মাস সমস্যাগ্রস্থ ছিল। এর পাশাপাশি ভারতের অর্থনীতিও রাজনৈতিক অচলাবস্থা, মূল্যস্ফীতি এবং রুপির দরপতনে দুর্বল হয়ে পড়েছে।
এডিবি জানায়, ২০১৩ সালে চীনের প্রবৃদ্ধি হবে ৭.৬ শতাংশ। এ ক্ষেত্রে অভ্যন্তরীণ চাহিদা কমার পাশাপাশি বিদেশে পণ্যের চাহিদা কমা এবং শিল্প উৎপাদন কমে যাওয়াকে দায়ী করা হচ্ছে। এডিবির প্রধান অর্থনীতিবিদ চেংগইয়ংগ রি এক বিবৃতিতে বলেন, যেহেতু এ অঞ্চলের প্রবৃদ্ধির প্রধান চালিকাশক্তি চীন; সেহেতু চীনের অর্থনীতি মন্থর হলে তা বাকি এশিয়াকে প্রভাবিত করে। এপ্রিলের পূর্বাভাসে বলা হয়েছিল চীনের প্রবৃদ্ধি হবে ৮.২ শতাংশ। এ বছর ভারতের প্রবৃদ্ধিও কমে হবে মাত্র ৪.৭ শতাংশ। যদিও আগের পূর্বাভাসে বলা হয়েছিল প্রবৃদ্ধি হবে ৬ শতাংশ। এডিবির মতে, রুপির দরপতন প্রবৃদ্ধি ব্যাহত করছে। গত মাসে ডলারের বিপরীতে রেকর্ড দরপতন হয় রুপির। এর পাশাপাশি ফেডারেল রিজার্ভের প্রণোদনা কমিয়ে দেওয়ার সম্ভাবনায় ভারত থেকে অর্থের বহির্মুখী প্রবাহ বেড়ে যায়। এ ছাড়া কাঠামোগত সংস্কারে ধীরগতি এবং দুর্বল অবকাঠামোর কারণে ভারতের শিল্প ও বিনিয়োগ বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। এটিও অর্থনীতি শ্লথ হওয়ার বড় কারণ বলে মনে করে এডিবি।
জানানো হয়, পূর্ব এশিয়ার প্রবৃদ্ধি হবে ৬.৬ শতাংশ। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার প্রবদ্ধি কমে হবে ৪.৯ শতাংশ। রি বলেন, পরিস্থিতি বলছে এশিয়ার অর্থনীতি টেকসই ও স্থিতিশীল করার জন্য কাঠামোগত সংস্কার জরুরি। তিনি আরো বলেন, আশা করা যায় ২০১৪ সালে এশিয়ার অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড জোরালো হবে।