স্থানান্তরের জন্য যে প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে, সে প্রকল্পের আওতায় স্যুয়েজ ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট (এসটিপি), স্লুজ পাওয়ার জেনারেশন সিস্টেম (এসপিজিএস) ও সলিড ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম (এসডবি্লউএমএস) ক্রয়ে সহায়তা করার জন্য বুয়েটের ব্যুরো অব রিসার্চ, টেস্টিং অ্যান্ড কনসালটেশনকে (বিআরটিসি) পরামর্শক হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। প্রতিষ্ঠানটি প্রকল্পের কেন্দ্রীয় বর্জ্য শোধনাগার নির্মাণ (সিইটিপি) ও ডাম্পিং ইয়ার্ড নির্মাণ কাজ তদারকি করবে।
সাভারে চামড়া শিল্প স্থানান্তরের জন্য প্রায় ২০০ একর জমি অধিগ্রহণ করা হয়েছে। এখানে ২০৫টি প্লটে ১৫৫টি শিল্প কারখানা স্থানান্তর করা হবে। প্রকল্পের অনুমোদিত মেয়াদকাল ২০১২ সালের জুনে শেষ হয়। পরে সিইটিপি স্থাপনসহ বেশ কিছু কাজ সংযোগ হওয়া এবং শিল্প মালিকদের সঙ্গে নানা জটিলতর কারণে প্রকল্পটি দ্বিতীয় বারের মতো সংশোধন করে জুন ২০১৬ সালের মধ্যে সম্পন্ন করার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়। প্রকল্পের মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ১০৭৮ কোটি টাকা। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে চীন-বাংলাদেশের যৌথভাবে পরিচালিত জেএলইপিসিআই-ডিসিএল-জেভি নামের কোম্পানি।
গতকালের বৈঠকে রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও কাতার থেকে ইউরিয়া সার আমদানির চুক্তি নবায়নের প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। সূত্র জানায়, ২০১৪-১৫ অর্থবছরে দেশে ইউরিয়া সারের বার্ষিক চাহিদা প্রায় ২৫ লাখ টন। বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ করপোরেশনের (বিসিআইসি) ছয় সার কারখানায় ১০ লাখ টন ইউরিয়া সার উৎপাদন হয়। অবিশিষ্ট সার আমদানি করা হবে। এর মধ্যে কাতার থেকে ৬ লাখ টন, সৌদি আরব থেকে ২ লাখ টন এবং সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে ২ লাখ টন আমদানির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। সূত্র জানায়, মধ্যপ্রাচ্যের দেশ তিনটির সঙ্গে বর্তমান চুক্তির মেয়াদ পর্যায়ক্রমে আগামী জুনে শেষ হবে। চুক্তির মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই দেশ তিনটির সঙ্গে চুক্তি নবায়নের প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।