কিন্তু অতি প্রয়োজনীয় এই বাঁশের চাষ ও উৎপাদন বাড়েনি কোনোভাবেই। পার্বত্য অঞ্চল এখন পর্যন্ত দেশের সবচেয়ে বাঁশবান্ধব এলাকা। কিন্তু গবেষণা ও পরিকল্পনার সমন্বয় না থাকায় পাহাড়ের বাঁশ ক্ষেত্রও ক্রমেই ছোট হয়ে আসছে।
গবেষকরা জানিয়েছেন, ভূ-প্রাকৃতিক কারণেই পার্বত্য অঞ্চলের মাটি পানি আর আবহাওয়া বাঁশ চাষের জন্য যেমন উপযোগী, তেমনি এদেশে বাঁশের প্রচুর চাহিদা থাকায় বাণিজ্যিক ভিত্তিতে বাঁশ চাষ করে লাভবান হওয়ার ব্যাপক সম্ভাবনাও রয়েছে। এতে পরিবেশের ভারসাম্যও রক্ষা হবে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, পৃথিবীতে প্রায় সাড়ে ৩শ’ প্রজাতির বাঁশ রয়েছে। এরমধ্যে পার্বত্য অঞ্চলে মুলি, বাজালি, রফাই, মৃতিঙ্গাসহ প্রায় ২০ প্রজাতির বাঁশ পাওয়া যায়। প্রয়োজনভেদে একেক প্রজাতির বাঁশ একেক কাজে লাগে। বিভিন্ন জাতের বাঁশ দিয়ে নানা রকম আসবাবপত্রও তৈরি করা হয়ে থাকে।
বাঁশ চাষের অপার সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে পারলে দেশের অর্থনীতিতে যেমন ইতিবাচক পরিবর্তন আসবে, তেমনি বাঁশ শিল্পের মাধ্যমে নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে। এমনটাই মনে করেন উদ্ভিদ বিজ্ঞানী ও চট্টগ্রাম বাঁশ গবেষণা কেন্দ্রের কর্মকর্তা সৈয়দা ফাহমিদা বানু। তিনি জানান, শুধু উৎপাদন নয় কাজে লাগানো বাঁশের স্থায়িত্ব (টেকসই) বৃদ্ধির বিষয়েও গবেষণা করছেন তারা। বাসস অবলম্বনে।