দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ডিবি কর্মকর্তা নিবারণ চন্দ্র ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন। শুনানি শেষে আদালত উভয়ের চারদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
১৭ জুলাই সকালে মিরপুর থানার এসআই রাকিব বাদী হয়ে এসআই জাহিদের বিরুদ্ধে পুলিশ হেফাজতে থাকা সুজন হত্যার দায়ে একটি মামলা করেন।
মামলায় মোট ৮ জনকে আসামি করা হয়। আসামিরা হলেন- এসআই জাহিদুর রহমান, এএসআই রাজকুমার, কনস্টেবল আনোয়ার হোসেন, রাশেদুল ইসলাম, পুলিশের সোর্স নাছিম শেখ, ফয়সাল, পলাশ ও খোকন। আসামিদের মধ্যে এসআই জাহিদ ও সোর্স নাসিম শেখকে গ্রেফতার করা হয়।
এসআই জাহিদকে ১৬ জুলাই ৫৪ ধারায় গ্রেফতার দেখানো হয়। জাহিদের বিরুদ্ধে চলতি বছরে তিনজনকে হত্যার অভিযোগ ওঠে। তবে পুলিশ এ সব অভিযোগ বরাবরের মতো অস্বীকার করেছে। সর্বশেষ মিরপুর থানায় কর্মরত অবস্থায় ১২ জুলাই (শনিবার) রাতে তার হেফাজতে মাহবুবুর রহমান সুজন নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়।
সুজনের পরিবারের অভিযোগ, নির্যাতন করে তাকে হত্যা করা হয়েছে। সুরতহাল রিপোর্টেও নির্যাতনে সুজনের মৃত্যুর বিষয়টি উঠে এসেছে। এ ঘটনায় ওই দিনই এসআই জাহিদকে থানা থেকে প্রত্যাহার করে রাজারবাগ পুলিশ লাইনে পাঠানো হয়।
এছাড়া ২৪ জানুয়ারি এসআই জাহিদ কালশী বিহারী ক্যাম্পে জাবেদ নামে এক বিহারী যুবককে গুলি করে হত্যা করেন বলে অভিযোগ রয়েছে। এর ১৫ দিন পর ৯ ফেব্রুয়ারি মো. জনি নামে অপর এক বিহারী যুবককে তুচ্ছ ঘটনায় আটক করে থানা হাজতে নির্যাতনে হত্যা করা হয় বলেও অভিযোগ ওঠে। এসআই জাহিদ ওই সময় পল্লবী থানায় কর্মরত ছিলেন। ওই ঘটনার পর তাকে প্রত্যাহার করা হলেও পরে তাকে মিরপুর থানায় সংযুক্ত করা হয়।