বৃহস্পতিবার সকালে সচিবালয়ে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন (এলজিআরডি) ও সমবায় মন্ত্রণালয় পরিদর্শনকালে মন্ত্রণালয়সহ কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে ভাষণে একথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, দেশটি আয়তনে ছোট হলেও এর জনসংখ্যা অনেক বেশি। এই বিপুল জনগোষ্ঠীর জন্য সেবার ব্যবস্থা করা খুবই দুরূহ। কিন্তু আমাদের এই কঠিন কাজটিই করতে হবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, স্থানীয় সরকার শক্তিশালী করতে পর্যায়ক্রমে জেলা পরিষদ, উপজেলা পরিষদ ও ইউনিয়ন পরিষদের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তরের পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের।
তিনি বলেন, স্থানীয় সরকার সংস্থাগুলোর স্তর পুনঃবিন্যাস করে পর্যাযক্রমে স্বাস্থ্য, শিক্ষা, আইন-শৃংখলা, অবকাঠামো উন্নয়ন, সামাজিক নিরাপত্তা এবং অন্যান্য উন্নয়ন পরিকল্পনা এসব সংস্থায় ন্যস্ত করা হবে।
শেখ হাসিনা স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানগুলোর কর্মকাণ্ডে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়ে বলেন, বরাদ্দ যা হোক না কেন, তা যথাযথভাবে ব্যয় হলে পল্লী উন্নয়নসহ গোটা দেশে পরিবর্তন সাধিত হতো।
পরিকল্পিত নগরায়ন ও দেশব্যাপী নাগরিক সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধির ওপর গুরুত্বারোপ করে তিনি বলেন, সরকার প্রত্যেক উপজেলার জন্য মাস্টার প্ল্যান তৈরির নির্দেশ দিয়েছে।
তিনি বলেন, কৃষি জমি রক্ষা করে নগরায়ন করতে হবে। কারণ অপরিকল্পিত নগরায়নে প্রতিবছর কৃষি জমি বিনষ্ট হচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, গ্রাম, ইউনিয়ন ও উপজেলা সদর দপ্তরকে সড়ক সংযোগের আওতায় আনার অঙ্গীকার রয়েছে সরকারের।
তিনি বলেন, সরকারের এসব অঙ্গীকার বাস্তবায়নে স্থানীয় রকার বিভাগকে আরও আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করতে হবে।
এলজিআরডি ও সমবায় মন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন।
এলজিআরডি প্রতিমন্ত্রী মশিউর রহমান রাঙা, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব আবদুস সোবহান সিকদার, প্রধানমন্ত্রীর সচিব মো. আবুল কালাম আজাদ, স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব মনজুর হোসেন, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় সচিব এম এ কাদের সরকার, প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব এ কে এম শামিম চৌধুরী এবং মন্ত্রণালয়ের পদস্থ কর্মকর্তারা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।