দণ্ডপ্রাপ্ত ব্যক্তিরা হলেন যশোরের অভয়নগর উপজেলার ফকিরহাটের নাজমুল গাজী (৪০) এবং বগুড়ার শেরপুরের বজলুর রহমান (৫০)।
প্রত্যক্ষদর্শী ও বন বিভাগ জানায়, গত বুধবার থেকে পোড়াদহ মেলায় যশোরের অভয়নগর উপজেলার নওয়াপাড়ার বারান্দি-ফকিরহাটের ‘এস এস বিশ্বাস প্রাণী প্রদর্শনী’ নামে একটি সার্কাসের দল টিকিটের বিনিময়ে বন্য জীবজন্তু প্রদর্শন করে। বগুড়ার সরকারি আজিজুল হক কলেজের পরিবেশবাদী সংগঠন ‘তীর’-এর (টিম ফর এনার্জি অ্যান্ড এনভায়রনমেন্ট রিসার্চ) সাধারণ সম্পাদক সোহানুর রহমান জানান, মেলায় ঘুরতে গিয়ে সংগঠনের কয়েকজন কর্মীর নজরে আসে টিকিট কেটে বন্য প্রাণী প্রদর্শনের বিষয়টি। বুধবারই বিষয়টি জানানো হয় বন অধিদপ্তরের বন্য প্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের রাজশাহী বিভাগীয় কর্মকর্তা মোল্লা রেজাউল করিমকে। রেজাউল করিম জানান, ‘তীর’-এর কর্মীদের সঙ্গে নিয়ে বৃহস্পতিবার গাবতলীতে গিয়ে প্রশাসনের সহযোগিতা চাওয়া হয়। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালত ও পুলিশের সহযোগিতায় মেলার ওই সার্কাস প্যান্ডেলে অভিযান চালানো হয়। তিনি বলেন, একটি মেছো বাঘ, একটি মাঝারি আকৃতির অজগর সাপ, একটি মদনকোট, একটি বনবিড়াল, একটি হনুমান ও দুটি বানর উদ্ধার করা হয়। বন্য প্রাণী সংরক্ষণ আইন-২০১২ লঙ্ঘন করে বন্য প্রাণী প্রদর্শন করার দায়ে সার্কাসের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট দুই ব্যক্তিকে সাজা দেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। তবে অভিযানের খবর পেয়ে সার্কাসের মালিক পালিয়ে যান।
রেজাউল করিম আরও জানান, উদ্ধার হওয়া এসব প্রাণীর মধ্যে মেছো বাঘটি নওগাঁর আলতাদীঘি জাতীয় উদ্যানে ছেড়ে দেওয়া হবে। অন্য প্রাণীকে চিকিৎসা দিয়ে সুস্থ করার পর সেগুলোর ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
‘তীর’-এর সহসভাপতি হাবিবুল্লাহ বলেন, জীববৈচিত্র্য, প্রকৃতি ও পরিবেশ রক্ষায় বন্যপ্রাণী সংরক্ষণে তাঁদের তৎপরতা অব্যাহত থাকবে।