পারিবারিক কলহের জেরে আত্মহত্যা করতে উদ্যত হয়েছিলেন রাজধানীর ভাটার এলাকার এক তরুণী। বিষয়টি টের পেয়ে ‘জাতীয় জরুরী সেবা ৯৯৯’ নম্বরে ফোন করেন তার বোন। ৯৯৯-এর মাধ্যমে খবর পেয়ে তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) ভাটারা থানার সদস্যরা।

শনিবার (৩ এপ্রিল) বিকেল ৯৯৯ নম্বরে ওই ফোনটি আসে। কলার জানান, পারিবারিক কলহের জের ধরে তার বোন আত্মহত্যা করতে উদ্যত হয়েছেন। রোববার বিকেলে ৯৯৯-এর পরিদর্শক আনোয়ার সাত্তার এ তথ্য জানান।

তিনি জানান, ভাটারা থানা এলাকার সাঈদনগর স্কুল এন্ড কলেজের পাশে একটি ভবনে ওই নারীর ছোট বোন স্বামীসহ বসবাস করেন। কয়েক মাস আগে তার বোন নিজের পছন্দে বিয়ে করেন। শনিবার সকালে পারিবারিক কলহের জের ধরে ওই নারী তার বোনকে জানান তিনি আত্মহত্যা করতে যাচ্ছেন। খবর পেয়ে বোনের বাসায় ছুটে যান তিনি। কিন্তু অনেক ধাক্কাধাক্কির পরও তার বোন দরজা খোলেনি।

এরপর তিনি কোনো উপায় না দেখে ৯৯৯ নম্বরে ফোন করে ঘটনাটি জানানো হয়। ৯৯৯ থেকে কলারের সঙ্গে কনফারেন্সের মাধ্যমে ভাটারা থানার ডিউটি অফিসারের সংযোগ স্থাপন করে দেয়। বিষয়টি শুনে ভাটারা থানার একটি দল দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছায়।

ভাটারা থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) ইস্কান্দার আলী ৯৯৯-কে ফোনে জানান, তারা ঘটনাস্থলে গিয়ে কলার বোন ও প্রতিবেশীদের সহায়তায় আত্মহত্যা প্রচেষ্টাকারী তরুণীকে চাহিদামতো আইনী সহায়তা এবং সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দেয়া হয়।

এতে আশ্বস্ত হয়ে একপর্যায়ে তরুণী দরজা খুলে বেরিয়ে আসেন ও সিলিংয়ের সঙ্গে বেঁধে রাখা ওড়না খুলে ফেলেন। পরে তার বাবা ও শ্বশুরবাড়ির লোকজনকে খবর দেয়া হয়। তারা এসে পারিবারিকভাবে ওই নারীর সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দেন।

একই সঙ্গে যেকোনো সময় আইনী সহায়তারও আশ্বাস দেয় ৯৯৯ ও ভাটারা থানা পুলিশ।